আধুনিক ‘স্টিল সাইলো’ : খাদ্যশস্য সংরক্ষণে দুশ্চিন্তা কাটবে কৃষকদের !

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪৮, রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২, ৯ শ্রাবণ ১৪২৯

খাদ্য নিরাপত্তা ও বিজ্ঞানসম্মত শস্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে 'মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক স্টিল সাইলো।

এ সংরক্ষণাগারগুলোর বৈশিষ্ট হচ্ছে- এসব সংরক্ষণাগারে খাদ্যশস্যে ভিটামিন মেশানো থেকে শুরু করে মজুত, সংরক্ষণ ও বিলিবণ্টনের হিসাব অটোমেটিক মেশিনে নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।

 

এখানে তিন বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যাবে এবং গুণগত মানে কোনো পরিবর্তনও আসবে না। মজুতকৃত খাদ্যশস্যে কোনো গন্ধ হবে না, পঁচবে না ও পোকায় ধরবে না। ফলে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ নিয়ে কৃষকদের আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

দেশে কোনো বছর খাদ্যশস্য বেশি উৎপাদিত হলে দাম কমে যায়। এর ফলে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফসল বিক্রি করে তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না। এ স্টিল সাইলোতে সংরক্ষিত খাদ্যশস্য বিক্রির জন্য তাড়াহুড়ো করতে হবে না। টানা তিন বছর খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যাবে বলে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেই সুরক্ষা নয়, সস্তায় বিক্রি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থেকেও কৃষকদের রক্ষা করা যাবে।

জানা যায়, 'মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ' নামের এ প্রকল্পের অধীনে
আটটি স্টিল সাইলো নির্মিত হচ্ছে যাদের
মোট ধারণ ক্ষমতা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন।এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পতেঙ্গা সাইলোর ধারণক্ষমতা হবে ১ লাখ ১৫ হাজার টন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রামে ৬ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুতের ব্যবস্থাসহ সারা দেশে মজুত ক্ষমতা ১৮ লাখ টন। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যূনতম ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রাখতে হয়। স্টিল সাইলো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article