প্রচণ্ড গরমে পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যুহার বেশি
গরমের কারণে অনেকে মানুষই ঝুঁকিতে থাকে। যত গরম, মানব শরীরের জন্য তা সামলানো ততই কঠিন। প্রচণ্ড গরমের কারণে ত্বকের নিচের ধমনীগুলো যখন খুলে যেতে থাকে, তখন রক্তচাপ কমে যায় আর হৃদপিণ্ডের কাজ বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সবখানে রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদপিণ্ডকে তখন দ্রুত পাম্প করতে হয়। এর ফলে শরীরে হালকা র্যাশ বা দানা দেখা দিতে পাওে অথবা কারো পা ফুলে যেতে পারে।
রক্তচাপ বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। আবার বেশি ঘামের কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীরা প্রচণ্ড গরমে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
যুক্তরাজ্যের গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে নারীরা বেশি ঝুঁকেতে রয়েছে। গবেষকরা বলেন, গরমে পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।
যুক্তরাজ্যে তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে, নারী, শিশু ও ৭৫ বছরের বেশি বয়সীরা। যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি নেদারল্যান্ডসের একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি মারা যান। ২০০৩ সালের গবেষণাও দেখা গেছে নারীদের এই মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ বেশি।
গবেষকরা বলেন, সবাধরণত পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি দিন বেঁচে থাকেন। কিন্তু অনেক কারণে নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হয়।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপ ও স্বাস্থ্যের অধ্যাপক অলি জেও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে যে অল্পবয়সী সুস্থ নারীদের ঘামের হার সেই বয়সের একজন পুরুষের তুলনায় কম।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব শারীরবিদ্যার অধ্যাপক মাইক টিপটন বলেন, সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর হল গরমের কাণে নারীদের মৃত্যুর হার কেন বেশি সেই বিষয়ে আরো বেশি গবেষণা করতে হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান