ক্যান্সার প্রতিরোধী রঙিন ফুলকপিতে লাভবান কৃষক

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১৯, রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২, ১৯ আষাঢ় ১৪২৯

শীত মৌসুমের জনপ্রিয় সবজি ফুলকপি সাদা রঙে দেখেই আমরা অভ্যস্ত। শহরের মানুষ বড়জোর কাছাকাছি জাতের সবুজ রঙের ব্রকলি চেনেন। তবে নেত্রকোনার কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস তাঁর জমিতে এবছর চাষ করেছেন রঙিন দুটি ভিন্ন জাতের ফুলকপি, যা দেখতে উজ্জ্বল হলুদ আর গাঢ় বেগুনী রঙের।

এসব ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে সন্তোষ বিশ্বাসের জমিতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 

 

জানা যায়, বর্ণিল এই ফুলকপিগুলোতে বেটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসায়ানিন্সের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলোর রয়েছে ক্যান্সারসহ আরও নানা রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা।

এছাড়া এগুলোতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। এগুলো খাদ্যে রক্তচাপ কমায়, হজমশক্তি বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়।

কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, দেশে তিনিই প্রথম এটি ফলিয়েছেন। স্থানীয় নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে এর চাষ শুরু করেন তিনি।

সাধারণ কপি চাষাবাদে যে পরিচর্যা ও খরচ হয় রঙিন কপি চাষাবাদেও একই পরিচর্যা ও খরচ হয়েছে। কিন্তু  রঙিন এই কপি চাষ করে লাভ হয়েছে সাধারণ কপির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এ কপি প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দামে, যেখানে একটি সাদা ফুলকপি বিক্রি হয় ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকায়।

বেগুনি ফুলকপিগুলোর এক একটির ওজন হয় দেড় কেজির ওপরে। আর হলুদগুলো হয় বারোশ থেকে চৌদ্দশ গ্রামের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, নতুন জাতের রঙিন এসব ফুল কপির বৈজ্ঞানিক নাম ‘কালার হাইব্রিড কলিফ্লাওয়ার’। এটির বীজ ভারতীয়। উৎপাদনের মাধ্যমে এই বীজ দেশের সব কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article