মাছ উৎপাদনে চীন-ভারতের পরেই বাংলাদেশ!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০১, রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২, ১৯ আষাঢ় ১৪২৯

বাংলাদেশে বাৎসরিক  প্রায় ১৩ লাখ টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশ। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। যা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশের বেশি

দূষণের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন কমছে। তবে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও উগান্ডায় উৎপাদন আগের মতোই আছে। আর সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ভারত ও চীনের পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। দুই বছর পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও চাষের মাছ উৎপাদনে তিনটি দেশ বিশ্বের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এই সাফল্য দেখিয়েছে।

বাংলাদেশে বাৎসরিক  প্রায় ১৩ লাখ টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশ। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। যা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশের বেশি

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্বাদুপানির পাখনাযুক্ত মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। বর্তমানে দেশে প্রায় ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হয়।

পাখনাযুক্ত অন্য প্রধান সাতটি মাছ হচ্ছে রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, গ্রাসকার্প ও সিলভার কার্প। বিশ্বজুড়ে চাষের ক্ষেত্রে এই সাত মাছকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে সামুদ্রিক মাছ আহরণে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮তম। তালিকার শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, পেরু, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ সমুদ্র থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার টন মাছ সংগ্রহ করে। আর শীর্ষ অবস্থানে থাকা চীন ১ কোটি ১৭ লাখ টন সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিএফআরআই সূত্রে জানা গেছে, গত এক যুগে দেশি ৩৬ প্রজাতির ছোট মাছের চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর ফলে মাছের উৎপাদন ৬৭ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন হয়েছে। ২৬০ প্রজাতির মাছসহ ৫০ লাখ টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

Share This Article