বিপদ কাটছে না অ্যাম্বার হার্ডের, তার বিরুদ্ধে এবার কুকুর পাচারের মামলা!
জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হারার পর হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড একরকম লোক চক্ষুর আড়ালে রয়েছেন। সম্প্রতি আবারো তিনি উঠে এসেছেন খবরের প্রতিবেদনে। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে কুকুর পাচারের মামলা।
লস এঞ্জেলসে নয়; এই মামলার তদন্তের জন্য তাকে ধরনা দিতে হবে ৭ হাজার ৯৪০ মাইল দূরের দেশ অস্ট্রেলিয়াতে। আইন অনুযায়ী, এই মামলায় হারলে অ্যাম্বার হার্ডের ১৪ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে আইনি এই অভিযোগ নতুন করে সৃষ্ট কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান সরকার পুরনো এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
আমেরিকান বিনোদনধর্মী সংবাদ ম্যাগাজিন 'এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইট'-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকান সরকারের কৃষি, জল ও পরিবেশ বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, "২০১৫ সালে অ্যাম্বার হার্ড অবৈধভাবে তার দুটি কুকুরকে এক দেশ থেকে অন্যদেশে নিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা পুনরায় খতিয়ে দেখছে সরকার।"
সম্প্রতি জনি ডেপের করা মানহানির মামলায় হেরেছেন হার্ড। মামলার রায় অনুযায়ী ডেপকে হার্ডের দিতে হবে ১০ মিলিয়ন ডলার। সেই অর্থ মেটাতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন অ্যাকোয়াম্যানের এই অভিনেত্রী, ঠিক তখনই তার জন্য আরো বড় দুঃসংবাদ এসে হাজির হলো।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের 'পাইরটস অব ক্যারিবিয়ান' এর শুটিং চলাকালে অ্যাম্বার তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান। সাথে তার দুটি পোষা কুকুরও ছিলো। কুকুর দুটিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিনা অনুমতিতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলাটি প্রথমবার যখন উত্থাপিত হয়, সেসময় হার্ড তার দোষ স্বীকার করে নেন। কিন্তু ৭ বছর পর আবারো এই অভিযোগ কাল হয়ে ফিরলো তার জন্য।
আগামী বছর হলিউড এই অভিনেত্রীর 'অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম' সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সূত্র: সিনেমাব্লেন্ড ও মার্কা
