শেখ হাসিনার প্রসংশা:সেই মাহফুজ আনামই এই মাহফুজ আনাম!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:০৩, রবিবার, ১২ জুন, ২০২২, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

পরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি তার ভুল স্বীকার করে বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই না করেই সেসব সংবাদ প্রকাশ করা তার ঠিক হয়নি।

ওয়ান-ইলেভেনের সময় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এমন সংবাদ প্রকাশের কারণে পরবর্তীতে তিনি তীব্র সমালোচনায়ও পড়েন। কারণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি যেই অভিযোগগুলো এনেছিলেন তার স্বপক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।

পরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি তার ভুল স্বীকার করে বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই না করেই সেসব সংবাদ প্রকাশ করা তার ঠিক হয়নি।

সম্প্রতি সেই মাহফুজ আনামই ডেইলি স্টার পত্রিকায় শেখ হাসিনার প্রসংশা করে একটি নিবন্ধ লিখেছেন।সেখানে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসংশা ও বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বক্তব্যেরও বিরোধীতা করেছেন তীব্র ভাষায়।যা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।  

গত ৪ জুন ডেইলি স্টার পত্রিকায় মাহফুজ আনাম ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তাৎপর্য’ শীর্ষক কলামে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রশংসা এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীনের বিনিয়োগকেও স্বাগত জানিয়েছেন।’

মাহফুজ আনাম বলেন, বেইজিং-নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের বৈরিতার সুযোগ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে চীনবিরোধী মনোভাব উসকে ফায়দা হাসিলের উপযুক্ত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।

সরকারকে পরামর্শ দিয়ে মাহফুজ আনাম বলেন, বাংলাদেশকে এ পরিবর্তনশীল, বিপজ্জনক ও সংঘাতমূলক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দ্রুত সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতের নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকার পরও তারা বাইরের কোনো শক্তিকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে দেয়নি। ২০২১ সালে এই দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা একটি অসামান্য অর্জন।

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে লেখার শুরুতে ভেনিজুয়েলার উদাহরণ টেনে বলেন, এক সময় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতে কোনো চেষ্টা বাকি রাখেনি মার্কিন সরকার। অথচ এখন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে মাদুরো সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজের স্বার্থ রক্ষায় কোন্ ধরনের নীতিমালা গ্রহণ করবে, সেটা একান্তই তাদের বিষয়। তাহলে আমরা যখন একই ধরনের কাজ করতে যাই, তখন কেন সেটি বড় ধরনের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়?

সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, মানবাধিকার ও স্বাধীন গণমাধ্যমের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে এবং এ বিষয়ে আমরা কোনো ছাড় দেব না।

তার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘মার্কিনপন্থী’ বলে পরিচিত মাহফুজ আনাম বলেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌদি আরব ও ন্যাটো সদস্য তুরস্কের মানবাধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে কী বলবে?

পিটার হাস আরও বলেছিলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মাহফুজ আনাম প্রশ্ন তুলে বলেন,  যেখানে মার্কিন নির্বাচনের দুবছর পার হয়ে গেলেও বেশিরভাগ রিপাবলিকান দলের সমর্থক মনে করেন সবশেষ নির্বাচনে কারচুপি করে তাদের পরাজিত করা হয়েছে , সেখানে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বুঝবে যে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে?

চীনের অর্থনৈতিক শক্তি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ দেখে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা ভীত হয়েছে বলে মনে করেন মাহফুজ আনাম। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনকে সরাসরি মোকাবিলা করতে চাচ্ছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

Share This Article


লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, নিহত ৭

বাংলাদেশ-ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই, ১টি নবায়ন

বঙ্গবন্ধুর কারণে ভারত বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে পারেনি: শেখ হাসিনা

বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল

৪ দিনের সফরে ঢাকায় ভুটানের রাজা

ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ

২২ দি‌নে এলো সাড়ে ১৫ হাজার কো‌টি টাকার রেমিট্যান্স

ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

ব্যবসায়ীদের অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে

এমভি আবদুল্লাহতে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে জলদস্যুরা

দোকানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

চ্যালেঞ্জ কমেনি সুপেয় পানির, স্তর নামছেই