বাংলাদেশি শ্রমিক ছাড়া গতি নেই মালয়েশিয়ার!
জানা গেছে, এই মুহুর্তে ভয়াবহ শ্রমিক সংকটে আছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় দুটো খাত হচ্ছে পাম ওয়েল ও নির্মান শিল্প। এই দুটি খাতেই কাজ করে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বিপুল পরিমান শ্রমিক।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ লক্ষ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ যায় মালয়েশিয়ায়।
কিন্তু মালয়েশিয়া নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে নানান অসন্তোষ। দেশটি কাজের তুলনায় কম বেতন দেয়। চুক্তি অনুযায়ী বেতনের পাশপাশি যেসব সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা সেগুলো থেকেও বঞ্চিত করে। এমনকী শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওপর সদয় হতে শুরু করেছে মালয়েশিয়া সরকার। সম্প্রতি দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারভানন ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের পর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক বেতন না দেয়, অথবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গড়িমসি করে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এছাড়া যে কোনও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে এলে তার জন্য খাদ্য ও বাসস্থান কোম্পানিকে নিশ্চিত করতে হবে, এমনকী বিমান ভাড়াও সেই প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে।
মালয়েশিয়া সরকারে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কারণ কি?
জানা গেছে, এই মুহুর্তে ভয়াবহ শ্রমিক সংকটে আছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় দুটো খাত হচ্ছে পাম ওয়েল ও নির্মান শিল্প। এই দুটি খাতেই কাজ করে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বিপুল পরিমান শ্রমিক।
কিন্তু হঠাৎ করেই ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দিয়েছে- তারা মালয়েশিয়াতে কোন শ্রমিক পাঠাকে না। ফলে মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার দুটো প্রধান অর্থনৈতিক খাত। আর এই সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশি শ্রমিকরাই। তাই আর সম্ভাব্য এই সংকট কাটাতে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের আনতে উঠেপড়ে লেগেছে মালয়েশিয়া।
সংস্লিষ্টরা বলছে, নতুন এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভাগ্য খুলে গিয়েছে, আর সুযোগের সদ্বব্যবহার করার এখনই উপযুক্ত সময়।