পপগুরু আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৫, রবিবার, ৫ জুন, ২০২২, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। সঙ্গীত অঙ্গনে তিনি আজম খান নামেই পরিচিত। বাংলার পপ সঙ্গীতের কিংবদন্তী এই শিল্পী ২০১১ সালের ৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

 

বাংলাদেশের এই রক গানের জনকের কিংবা গুরুর জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির ১০ নম্বর কোয়ার্টারে। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন।

১৯৫৬ সাল থেকে কমলাপুরে বসবাস শুরু করে আজম খানের পরিবার। একই বছর কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে ভর্তি হন তিনি। ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন আজম খান। ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।

মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আজম খান। দেশ স্বাধীন হবার পর গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আখন্দ ভ্রাতৃদ্বয় (লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ), আরও কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।

১৯৭২ সালে ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দু’টি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিটিভিতে। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এ দু’টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যায় ‘উচ্চারণ’।

১৯৮১ সালে ১৪ জানুয়ারি, সাহেদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আজম খানের। তখন তার বয়স ছিল ৩১ বছর। সহধর্মিণী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবন কাটাতেন তিনি। আজম খানের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে ইমা খান, মেঝো ছেলে হৃদয় খান ও ছোট মেয়ে অরনী খান।

১৯৭২ সালে নটরডেম কলেজের প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো দর্শকের সামনে গান করেন তিনি। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল এদেশে প্রথম কনসার্ট হয় ওয়াপদা মিলনায়তনে হারুন নামের জনৈক ব্যক্তির অবদানে।

১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম ক্যাসেট বের হয়। এরপর তার বেশ কিছু ক্যাসেট এবং সিডি বাজারজাত হয়। তার প্রথম সিডি বের হয় ১৯৯৯ সালের ৩ মে ডিস্কো রেকর্ডিংয়ের প্রযোজনায়।

তার ১৭টি গানের অ্যালবামসহ বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয়। আজম খানের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো- আমি যারে চাইরে, অভিমানী তুমি কোথায়, একদিন-তো চলে যাবো, জীবনে কিছু পাবো নারে, আসি আসি বলে তুমি আর এলেনা, ও চাঁদ সুন্দর চাঁদ, চুপ চুপ অনামিকা চুপ, হারিয়ে গেছো খুঁজে পাবোনা, ঘুম আসেনাসহ আরও অসংখ্য খান।

আজম খান ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ শিরোনামে গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন।

২০১০ সালে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হন। ২০১১ সালের ৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে এই পপসম্রাট। তবু আজও রয়ে গেছেন ভক্তদের ভালোবাসায়। আছেন তাদের অন্তরেই।

Share This Article

মহামারি রূপ নিতে পারে নিপাহ ভাইরাস, কাঁচা রসে নিষেধাজ্ঞা

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা

পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি, জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গোপালগঞ্জে ১৭৯ হেক্টর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বেড়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগরে জনপ্রিয় হচ্ছে মরুর ফল সাম্মাম চাষ

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে গ্রামীণ জনপদে মাসকলাই চাষ

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

৪০ আসনে ছাড় চায় জাতীয় পার্টি, থাকতে পারবে না স্বতন্ত্র প্রার্থীও

পেঁয়াজ ইস্যুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বোয়িং বিক্রির প্রস্তাব পিটার হাসের, বাংলাদেশ চায় নিউইয়র্ক ফ্লাইট