দেশে অচিরেই চালু হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি!

বৈদ্যুতিক গাড়ি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশি ভারত, নেপাল, শ্রীলংকায় বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলন শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগেই।
এছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি পুরোদমে চালু হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে অধিকাংশ গাড়িই বিদ্যুৎ চালিত হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাপক প্রচলন করতে চায় সরকার।
বর্তমানে দেশে ইজিবাইক, মিশুক বা অটোর মতো বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জিংয়ের মাধ্যমে চলছে। তবে সরকার এখন নির্দিষ্ট মডেলের টেকসই বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে সড়কে বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচলসহ চার্জ নেয়ার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
জানা গেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব বিভাগীয় শহরে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে।
এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কী ধরনের গাড়ি সড়কে চলবে, সেটা নির্ধারণ করবে বিআরটিএ। এই বিষয়ে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হচ্ছে।
নীতিমালা হলেই বাণিজ্যিকভাবে চার্জিং স্টেশনের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা হবে, যাতে করে সবাই বৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়ি চার্জ করতে পারেন। স্টেশন পর্যাপ্ত হলে যানবাহনও দ্রুত বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
খসড়া নীতিমালায় বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেলের জীবনকাল ১০ বছর, তিন চাকার যান ৯ বছর এবং হালকা, মধ্যম ও ভারী যানের জন্য ২০ বছর ধরা হয়েছে।