ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:২১, শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

২৭ এপ্রিল প্রাক-বর্ষা মৌসুমের মশা জরিপের তথ্য সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. একরামুল হক। সেসময় তিনি জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ফলে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাই এ বছরও বর্ষা মৌসুমের আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতর রাজধানীর এডিস মশার প্রজনন নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। 

গত ২৩ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালিত ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি অনেক বেশি। ওই অনুষ্ঠানের পরে তিনি বলেছিলেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে কি না, তা নির্ভর করছে তিনটি বিষয়ের ওপর: বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা। তবে এই তিনটি চলকের বা ভেরিয়েবলের অনুপাত কী হলে ডেঙ্গু বাড়বে, তা তার কাছ থেকে জানা যায়নি।

এরপর থেকেই প্রতিদিন দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, দেশজুড়ে এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট রোগ ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন- করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।

শুরু হয়েছে বর্ষা কাল। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তাহলে তা সামাল দেয়া কঠিন হবে। মশক নিধনের দায়িত্বে থাকা দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির কথা বলে এলেও মাঠ পর্যায়ে এখনো কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অনেকেই বলছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশা মারতে কিটনাশক প্রয়োগ ও চিরুনি অভিযানের নামে জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। জনসচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী না হলে শুধু ওষুধ ছিটিয়ে কিংবা জনগণের জরিমানা করে মশার বিস্তার কমানো যাবে না। এজন্য সিটি করপোরেশনেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

সারাবছর ডেঙ্গু রোগী খুব কম পাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী হু হু করে বাড়তে থাকে। বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বৃষ্টি। অপরিকল্পিত নগরায়ন, মানুষের অসচেতনতা ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব শহরে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। আধুনিক জীবনযাপনের সাথে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেট, পানির জারসহ বিভিন্ন ধরনের পাত্র। আর এই পাত্রই ডেকে আনছে ডেঙ্গু। নগরীর বিভিন্ন স্থানে আনাচে কানাচে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের পাত্র এডিস মশা প্রজননের জন্য উপযুক্ত স্থান।

ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি : দেশজুড়ে এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট রোগ ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ২০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি একজন রাজধানীর বাইরে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৫৩ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫২ জন চিকিৎসাধীন। বাকি একজন ঢাকার বাইরে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরে প্রথম দিন থেকে থেকে ২ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সর্বমোট ৩৮১ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩২৮ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টাসহ চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগের দিন বুধবার এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন সোমবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ নতুন রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর আগের দিন রোববার দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছিলেন ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০, মার্চে ২০, এপ্রিলে ২৩ ও মে মাসে ১২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চলতি মাসের দুই দিনেই ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে গেছেন ২৯ জন রোগী।

ডেঙ্গু ঝুঁকি বাড়ছেই বছরের পর বছর : ঢাকায় বেড়েছে এডিস মশার ঘনত্ব। ডেঙ্গু বাহক এই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। যতই দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে এর প্রকোপ। এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ভবনের বেজমেন্ট কিংবা পরিত্যক্ত বিভিন্ন পাত্র এখন এডিস মশার প্রজনন স্থল। বস্তি কিংবা অভিজাত এলাকা, সব খানেই মিলছে এডিসের লার্ভা। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিরুনি অভিযানেও উঠে এসেছে এ তথ্য। বর্ষা শুরু হলে এডিসের ঘনত্ব আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করেছেন কীটতত্ত্ববিদরা। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, চলতি বছর রাজধানীতে ডেঙ্গুর ঝুঁকি রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কয়েকগুণ বাড়তে পারে। একই আশঙ্কা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও। সম্প্রতি বর্ষা-পূর্ব মশা জরিপে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ডেঙ্গুর প্রসঙ্গ অনেকটাই চাপা থেকেছে। গত ২৭ এপ্রিল সাংবাদিক সম্মেলন করে মশা জরিপের তথ্য তুলে ধরার পর ডেঙ্গুর বিষয়টি মানুষের সামনে এসেছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ এ বছর বেড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে তখন থেকেই। তবে এখন পর্যন্ত উদ্বেগজনক কিছু ঘটেনি, ঘটতে পারে। দিন দিন পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশে বড় আকারে দেখা দেয় ২০০০ সালে। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় ৯৩ জনের। কিন্তু তার চেয়েও ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে দেখা দেয় ২০১৯ সালে। সরকারি হিসাবে ওই বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। ইতিহাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছর।

ঠিক পরের বছর শুরু হয় করোনা মহামারি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কম হতে দেখা যায়, মৃত্যুও ছিল কম। ২০২০ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪০৫ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। হঠাৎ ডেঙ্গু কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলেছিলেন যে একই সময়ে দুটি ভাইরাস প্রবলভাবে উপস্থিত থাকতে পারে না। করোনার প্রবল উপস্থিতির কারণে ডেঙ্গুর উপস্থিতি দুর্বল ছিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে করোনা মহামারি শেষ হয়ে যায়নি, কিন্তু ডেঙ্গু প্রবলভাবে ফিরে আসে। ওই বছর ২৮ হাজার ২৬৫ জন আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ১০৫ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যু-দুইই ছিল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যদিও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।

অতীতে দেখা গেছে, ডেঙ্গু বেড়ে গেলে সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া শুরু করে। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে গেলে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের দিকে কেউ নজর দেয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কোনো টেকসই ও কার্যকর উদ্যোগ নেয় না। এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিরও ঘাটতি আছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে মশক নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশকে বাজেট রাখা হয়েছে সাড়ে বাইশ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ২২ মে পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৯২ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৮৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। ফগার মেশিন পরিবহন ব্যয় খাতে ৩ দশমিক ৭৫ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা। মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ইতিমধ্যে ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

এডিস নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। কর্মপরিকল্পনার আলোকে ১লা আষাঢ় (১৫ই জুন) থেকেই আমাদের কার্যক্রম আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করবো। আমাদের ১০টি অঞ্চলে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। এছাড়াও আমাদের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। গতবার আমরা ১ মাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা ২ মাস ধরে পরিচালনা করবো এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করবো।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিদিন সকালে লার্ভিসাইডিং এবং বিকালে ফগিং করা হচ্ছে। দশদিনের বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৯০০ মশককর্মী এবং ১০০ সুপারভাইজার মশা নিধনে কাজ করছে। দশটায় দশমিনিট প্রতি শনিবার স্লোগানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সচেতনতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে। এডিস মশার লার্ভা নিরসনে প্রতিটি সরকারি- বেসরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নগরবাসী বলছেন, সিটি করপোরেশন প্রতি বছর সকালে বিকালে কিটনাশক প্রয়োগ করে আসার কথা বললেও তা যথেষ্ট নয়। মশককর্মীরা কেবল মাত্র নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং প্রয়োগ করে। অধিকাংশ বাসাবাড়ি কিংবা অলি-গলিতে তাদেরকে দেখা যায় না। এমনকি তাদের ফগার মেশিনের সাহায্যে ছিটানো ওষুধে মশা মরে না। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তারা বলছেন-মশক নিধনে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার সঠিক তদারকি হচ্ছে না। ফলে অর্থ খরচ হচ্ছে কিন্তু যথাযথ মশক নিধন হচ্ছে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর কীটতত্ত্ববিদ গবেষক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে নিজের বাড়ি ও আঙিনা মশামুক্ত রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা পানি ধরে রাখেন, তাদের উচিত হবে পানির পাত্র প্রতি সপ্তাহে ব্লিচিং পাউডার বা সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা। ছাদবাগানের কোথাও যেন পানি জমার সুযোগ না থাকে, তা প্রতিটি বাগানের মালিক বা ছাদের মালিককে নিশ্চিত করতে হবে। তাই সিটি কর্পোরেশন এবং নগরবাসী একে অপরকে দোষারোপ না করে যার যার দায়িত্ব বোধ থেকে সমন্বিত কার্যক্রম চালালে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে। ডেঙ্গুর বাহক মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

 

সুত্র : দৈনিক সংগ্রাম

Share This Article


টেকসই যোগাযোগের জন্য নদী রক্ষার বিকল্প নেই : নসরুল হামিদ

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ আইএমও’র ভাইস-চেয়ার নির্বাচিত

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অব্যাহত সমর্থন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর

নির্বাচন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাল ইসির বৈঠক

ঢাকা-৫ ও ১৪ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন সৈয়দ ইবরাহিম

বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসতে হবে: ইসি রাশেদা

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে : ইসি আলমগীর

দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি: কাদের

স্কুল ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী