স্কয়ার ও এসিআইসহ চাল মজুত করেছে বড় ছয় প্রতিষ্ঠান

চালের অবৈধ মজুতদারদের ধরতে রাজধানীসহ সারাদেশে ৩১ মে থেকে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে সরকার। এ অভিযানে স্কয়ার-এসিআইসহ নামিদামি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর চালের মজুত করার অস্তিত্ব পেয়েছেন অভিযানকারীরা।
৩০ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দাম এত বেশি কেন তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় রাজধানীসহ সারাদেশের গুদামে অভিযান।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ চাল উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় মজুতটি ছিল দিনাজপুরের চোহেলগাজীতে স্কয়ারের গুদামে। ১৫৬ মেট্রিক টন মজুতের অনুমতি থাকলেও প্রায় ৫ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চাল মজুত করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এ অপরাধে মামলাও করা হয়েছে।
দেশের আরেক বড় প্রতিষ্ঠান এসিআইকেও জরিমানা করা হয়েছে। নওগাঁয় মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ধরে ৫০০ টন ধান মজুত করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া নারায়গঞ্জে ও চট্টগ্রামে চালের দাম বৃদ্ধি ও অধিক পরিমাণে মজুত করার দায়ে আড়তদারকে অর্থদণ্ড ও আড়ত সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অবৈধ মজুতদারদের ধরতে অভিযানের পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অবৈধ মজুতের তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমের +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০-৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩-০০৩৫০৬ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ।