সংশোধন আসছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৮, বুধবার, ১ জুন, ২০২২, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা দূর করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সরকারের পদক্ষেপের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা কমে যাচ্ছে। মামলা করলেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মী আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ডেটা সুরক্ষা আইনবিষয়ক সংলাপে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

 

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) বিষয়ভিত্তিক এই সংলাপের আয়োজন করে। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এরই মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কিছু পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে যদি কোনো অন্তরায় থাকে তা দূর করা হবে। আমরা জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করেছি। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবকে আহ্বায়ক করে এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে কমিটি আইনটি সংশোধন নিয়ে কাজ করছে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর এ সংক্রান্ত আইনের বেস্ট প্র্যাকটিসকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। তখন এ আইন নিয়ে আর কারো প্রশ্ন থাকবে না।

আইনমন্ত্রী এই আইনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, চুরির সংজ্ঞা সাধারণত কোনো বাড়িতে চোরের ফিজিক্যালি উপস্থিতিতে চুরি করা। কিন্তু এখন চোর ফিজিক্যালি উপস্থিত না হয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে করছে। এ প্রক্রিয়ায় কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করে সেটি কি অপরাধ নয়?

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ধারা হচ্ছে ২১। যেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় পতাকা নিয়ে কোনো কটূক্তি, অসম্মান কিংবা বিদ্বেষ ছড়ানো যাবে না। কেউ করলে সেটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলোও স্পষ্ট করা হয়েছে আইনে। আমি নিজেও ল’ এনফোর্সমেন্ট কমিটিতে আছি। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে, জাতীয় পতাকাকে অশ্রদ্ধা করা হচ্ছে, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাংলাদেশেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। আবার আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে এমন কিছু বলা হচ্ছে, যা দেখলে-শুনলে সুস্থ মস্তিষ্কের যে কারো মাথা-কান গরম হয়ে যাবে। এ ধরনের অবজ্ঞাকারীদের কি প্রতিকার দরকার পড়ে না? মূলত তাদের প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এখন চাইলেই ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা নেওয়া হবে না। এই মামলা নেওয়ার অনেক প্রসেস আছে; তার সুরাহা হয় কোর্টে। তা ছাড়া আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যথাসম্ভব এই মামলা কম নেওয়ার। কেবল ধারাতে পড়লেই সেটি নেওয়া যাবে কি না তার সিদ্ধান্ত হবে কোর্টে।

Share This Article