বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গতকাল রবিবার বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন থেকে ১৭০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস।
এর আগে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিট) কলকাতা থেকে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বন্ধন এক্সপ্রেস। দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম যাত্রায় যাত্রীসংখ্যা কম হলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, ভারত-বাংলাদেশের রেলপথে শিগ্গিরই যাত্রীসংখ্যা বাড়বে।
আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল শুরু উপলক্ষ্যে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দিল্লি সফরে রয়েছেন। গতকাল ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রথম যাত্রায় যাত্রীদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান রেলের কর্মকর্তারা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন পর মৈত্রী চালু করতে পেরে তারা আনন্দিত।
যাত্রী কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, দীর্ঘ দিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া একটি বিষয়। তাছাড়া এ বিষয়ে তেমন প্রচার-প্রচারণাও করা যায়নি। সে কারণে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে। তবে এ পরিস্হিতি দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ বন্ধ হয় ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করা ট্রেন ‘মৈত্রী’ ও ‘বন্ধন’। আর ২০২১ সালে উদ্বোধন হয়ে থাকা ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলাচল করা ট্রেন মিতালি প্রথম বারের মতো ১ জুন থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। এ সব ট্রেন চলাচলের জন্য গত ২৩ মে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর আগে, ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানোর পরে গত ২২ মে ট্রেন চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, ৫০ শতাংশ আসন যাত্রীপূর্ণ না হলে লোকসান গুনতে হয়। সে তুলনায় দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম যাত্রায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের প্রায় ৬৪ শতাংশ আসনই ছিল ফাঁকা।