মাঙ্কিপক্স:কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন?

মোহাম্মদ রবিউল্লাহ: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে বিরল, স্বল্প পরিচিত রোগ মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। আফ্রিকায় হাজারো রোগী শনাক্ত হলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে এতদিন রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচ) জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে সেই চিত্র বদলে গেছে। ইউরোপের ১১টি দেশে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ১০০।
ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করে ভঙ্গুর ত্বক, শ্বাসনালি, চোখ, নাক বা মুখের মাধ্যমে। কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে মাঙ্কিপক্স ছড়াতে পারে। সংক্রমিত বানর, ইঁদুর ও কাঠবিড়াল এবং ভাইরাসযুক্ত বস্তু যেমন বিছানাপত্র ও জামাকাপড়ের সংস্পর্শে এলেও ছড়াতে পারে ভাইরাসটি।
প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা ব্যথা, ফুলে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা এবং সাধারণ ক্লান্তি। জ্বর সারলে ফুসকুড়ি তৈরি হতে পারে। এটি মুখমণ্ডল থেকে শুরু হয়। তারপর শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
ফুসকুড়িগুলোতে খুব চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যায়ে খোসা গঠিত হতে পারে। খোসাটি পরে ঝরে যায়। এর ক্ষতের দাগ থেকে যেতে পারে। সংক্রমণটি সাধারণত নিজে থেকেই চলে যায়। এটি ১৪ থেকে ২১ দিন স্থায়ী হয়।
((কেউ সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসটি ত্বকের ক্ষত, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।))
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, যৌন মিলনের সময় সরাসরি সংস্পর্শে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে যারা সমকামী বা উভকামী কিংবা যেসব পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় জড়ায় এ রোগ তাদের বেশি হয়।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির অণুজীব বিশেষজ্ঞ ড. সাফা বারকাটি বলেন, এটা (মাঙ্কিপক্স) পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনতা হয় এমন সম্প্রদায়ে বেশি হয়ে থাকে। তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।