ব্যবসা শুরুর আগে আমের মালিকানা বাংলাদেশের হতে হবে

ব্রিটিশ আমলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হতো বাংলায়। মাঝে ঐতিহ্য হারিয়ে আবারও উৎপাদনে সুদিন ফিরছে আমের।
বর্তমানে বাংলাদেশের আম পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে আমের রপ্তানি আরও প্রসারিত হবে।
কিন্তু বাংলাদেশ নিজস্ব জাতের ওপর স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আগে অন্যদেশ ঐ জাতের ওপর স্বত্বাধিকার নিশ্চিত করলে নিবন্ধনকারী দেশকে বাণিজ্যিক সুবিধার অংশীদারী দিতে হবে। এতে দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। তাই বাংলাদেশের আমের জাতগুলোয় দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করছেন সংস্লিষ্টরা।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা’র হিসেবে বাংলাদেশে ১৫২টি বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে ৩১টি জাতের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত আমের ১৪টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এই জাতগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সারাদেশে এর চাষাবাদ ও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
দেশের প্রায় ৮টি বহুল সমাদৃত ভৌগোলিক নির্দেশক আমের জাত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ফজলি, ল্যাংরা, গোপালভোগ, খিরসাপাত, আশ্বিনা, লক্ষণভোগ, সূর্যপুরী ও হাড়িভাঙ্গা।
ইতোমধ্যে ফজলি আম,কে অন্য দেশ নিজেদের সম্পদ হিসাবে স্বত্বাধিকার বা প্যাটেন্ট করিয়ে নিয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো জাতেরই পেটেন্ট নেয়া বাকি আছে। যেগুলো রপ্তানি হলে অন্য কোন দেশ এসব জাতের পেটেন্ট করিয়ে নিতে পারে। তাই সবার আগে পেটেন্ট করানোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি গবেষকরা।
বাংলাদেশে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আমের জনপ্রিয় দেশীয় জাতগুলো ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার দেশের স্থানীয় ও নিবন্ধিত জাতের ওপর স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় অতিদ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নিচ্ছে। অচিরেই এসব জাতের মালিকানা বাংলাদেশ পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।