দ্বিতীয় টি-২০: জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছেন জোনথন ক্যাম্পবেল। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, তিনি জিম্বাবুয়ের সাবেক তারকা ব্যাটার ও অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে। বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অন্যান্য ব্যাটাররা যখন খাবি খেয়েছেন তখন দ্যুতি ছড়িয়েছেন ক্যাম্পবেল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে থেমেছে তারা। এর মধ্যে একাই ৪৫ রান করেছেন ক্যাম্পবেল। মাত্র ২৪ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
এদিন শুরু থেকে খুব ধীরগতিতে ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটি পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে করে মাত্র ২২ রান। এই সময়ে হারায় তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে। ৪ বলে ২ রান করে তাসকিন আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে দলটি করে মাত্র ৩৮ রান। হারায় ৪ উইকেট।
দলীয় সপ্তম ওভারে ৩০ বলে মাত্র ১৭ রান করে আউট হয়েছেন জয়লর্ড গাম্বি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ক্যাচ দেন তিনি। দশম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ হোসেনের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। একই ওভারে কোনো রান না করেই ফেরেন ক্লাইভ মানান্দে। পরের ওভারে শেখ মেহেদীর বলে ১৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিনও।
এরপরই দারুণ এক জুটি গড়েন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। উইকেট তো সুরক্ষিত রেখেছেনই, বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চালিয়েছেন পাল্টা আক্রমণ। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে নিয়ে গেছেন ১১৫ রান পর্যন্ত। ৭৩ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ৪৩ বলে। ১১৫ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন ক্যাম্পবেল। তবে শেষের দিকে একাই লড়াই চালিয়ে যান বেনেট। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। সমান ওভারে ২ উইকেট নেওয়া রিশাদ দিয়েছেন ৩৩ রান। একটি করে উইকেট শরিফুল ইসলাম, মেহেদী ও সাইফউদ্দিনের।