স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব 'কমিউনিটি ক্লিনিক': কমেছে মাতৃ-শিশুমৃত্যু, মিলছে উন্নত সেবা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৪, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩০

ওষুধ আর পরামর্শ পেয়ে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষই সন্তুষ্ট। কমিউনিটি ক্লিনিককে অনেকেই নিজেদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এজন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী 'একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি কৃতজ্ঞ।

চিকিৎসা নিতে একসময় শহরে ছুটতেন গ্রামীণ মানুষ। গুনতে হতো বাড়তি টাকাসহ অনেক ঝক্কি-ঝামেলা। কিন্তু এখন ঘরের কাছেই মিলছে উন্নত সেবা। দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তা কমিয়ে অন্তঃসত্ত্বা কিংবা নারীদের মনেও এনেছে স্বস্তি। আর এভাবেই নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। আর তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অভূতপূর্ব এই ধারণার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর স্বকীয় উদ্ভাবনী চিন্তাটি দেশে-বিদেশে নন্দিত। নজর কেড়েছে জাতিসংঘেরও। পেয়েছে স্বীকৃতি।

উদ্দেশ্য ছিল নদীমাতৃক হাওর-বাঁওড় তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেন না। সেই লক্ষ্য নিয়েই ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে কমিউনিটি ক্লিনিকের পথচলা শুরু। বর্তমানে সারাদেশে এর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজারের বেশি। যদিও মাঝে কিছুটা বাগড়া দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে ২০০৯-এ দেশশাসনে বসে আবারও কার্যক্রমটি চালুর জোর চেষ্টা চালান শেখ হাসিনা। তাঁর দেখানো পথেই বাংলাদেশ আজ মাতৃ-শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনার রোল মডেল।

১৫-২০ মিনিটের দূরত্বে গ্রামীণ সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একই নকশায় বানানো ছোট্ট ভবনে পাওয়া যাচ্ছে নানান চিকিৎসা-সুবিধা। ওষুধ কিংবা ডাক্তারি পরামর্শও মিলছে বিনামূল্যে। শুরুতে পাঁচ শতাংশ জমিতে এসব ক্লিনিক বানানো হয়েছিল। তবে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ায় উন্নীত করা হয় আট শতাংশ জমিতে। নতুন মডেলেরও রূপ দেয়া হচ্ছে। এখনকার সব ভবনেই চারটি করে কক্ষ রয়েছে।

তথ্য বলছে, মানুষের চাহিদামতো ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ সরকার। সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এখান থেকে সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। এমনকি নবজাতকদের জন্যও রয়েছে বিশেষ সেবা। এছাড়া এসব ক্লিনিকে সময়মতো যক্ষ্মার প্রতিষেধক টিকা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, জ্বর-ডায়রিয়াসহ ছোটখাটো অনেক রোগেরই চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে। কাটাছেঁড়া বা আগুনে পুড়লেও প্রাথমিক সেবা মিলছে ঘরের কাছে।

স্বাধীনতার পর গেল ৫৩ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পেছনে আছে বেশ কিছু উদ্ভাবন আর উদ্যোগ। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান এই কমিউনিটি ক্লিনিক; যা এখন জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃত। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল' গড়ে তোলায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির বিশেষ সম্মাননাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া এমডিজি, গ্যাভি বা ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়ির পাশের ক্লিনিক থেকে ওষুধ আর পরামর্শ পেয়ে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষই সন্তুষ্ট। কমিউনিটি ক্লিনিককে অনেকেই নিজেদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কেননা আগে কোনো কোনো গ্রামে ভালো ওষুধের দোকানও ছিল না। বর্তমানে হাতের নাগালে সব ধরনের সুবিধা পাওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে দিনকে দিন সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই 'একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি কৃতজ্ঞ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই: অশোক কুমার দেবনাথ

মোটরযানে হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করলেই ব্যবস্থা

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

আবারও হিট অ্যালার্ট জারি

আমি হাওয়া ভবনের মতো কোনো ‘খাওয়া ভবন’ করিনি: প্রধানমন্ত্রী

ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

গণভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা সিক্ত শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা

ফিলিস্তিনি আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী