বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাক প্রধানমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০২, শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩০

বাংলাদেশকে বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু আজ সেই দেশটি অর্থনৈতিক কিংবা শিল্পায়নের দিক দিয়ে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। তলানিতে ঠেকেছে মুদ্রার মান। রিজার্ভে থামছে না ভাটার টান। রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতাও। এমন নানামুখী সংকটে নাজেহাল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। কিন্তু একসময় বোঝা মনে করা বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। আর এসব দেখে রীতিমতো বিস্মিত পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকরা। এমনকি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান কিংবা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কণ্ঠেও শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার গুণকীর্তনের কথা।

২৪ এপ্রিল দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের অংশ থাকাকালীন বাংলাদেশকে বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু আজ সেই দেশটি অর্থনৈতিক কিংবা শিল্পায়নের দিক দিয়ে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখন বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।’ একই সঙ্গে নিজ দেশের অর্থনীতির করুণ দশা নিয়েও আক্ষেপ করেন এই প্রধানমন্ত্রী।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন বলা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ আমাদের কাঁধের বোঝা। অথচ আপনারা সবাই জানেন সেই বোঝা বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোথায় পৌঁছে গেছে। তাদের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জিত হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। কারণ বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে।’

চোখ ধাঁধানো উন্নয়নে বাংলাদেশকে নিয়ে শুধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীই নন; ক্ষমতাধর বিশ্বনেতারাও বেশ অবাক। এজন্য এ অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসাও করছেন তারা। জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরছে নিয়মিত।

গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে গিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের নয়নমণি হয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনে নানা ধরনের ইতিবাচক কথা বলেন যুক্তরাজ্য-ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস-কাতারসহ কয়েকটি দেশের প্রধানরা। শেখ হাসিনাকে সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আমার স্ত্রীও আপনার বড় ভক্ত। বিশেষ করে আমার দুই মেয়ের জন্য আপনি মহান অনুপ্রেরণা।’

সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার গুণগান গেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও বেশ অগ্রসর হয়েছে।’ চীন-রাশিয়া-ভারতসহ পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সম্মেলনেও বিশ্ব মোড়লদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির উন্নতি গোটা বিশ্বের জন্য উদাহরণ বলে কদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টার কারণেই বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতিতে রূপ নিয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক নানান অনিশ্চয়তার মধ্যেই এগিয়ে চলছি আমরা। আর এসবের প্রশংসা করতে সবাই বাধ্য হচ্ছেন,কেননা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা কাটিয়ে বাংলাদেশকে এ পর্যায়ে আনা চাট্টিখানি কথা নয়। মূলত টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা দেশচালনায় আছেন বলেই এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।

Share This Article


সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

আবারও হিট অ্যালার্ট জারি

আমি হাওয়া ভবনের মতো কোনো ‘খাওয়া ভবন’ করিনি: প্রধানমন্ত্রী

ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

গণভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা সিক্ত শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা

ফিলিস্তিনি আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

বুদ্ধ পূর্ণিমায় নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

‘কার্বন নিঃসরণ কমাতে উন্নত বিশ্বকে মনোযোগ দিতে হবে’